ইসরায়েল যাচ্ছেন না মেসিরা - EH News365

89

EH News365 is a news portal

সব শেষ খবর

Post Top Ad

Wednesday, June 6, 2018

demo-image

ইসরায়েল যাচ্ছেন না মেসিরা

Responsive Ads Here
162167104b557eeaa5f8c19a8802286d-5b17620139141

জেরুজালেমে অনুষ্ঠেয় আর্জেন্টিনা-ইসরায়েল ম্যাচটি বাতিল হয়ে গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজনৈতিক কারণেই মেসিদের ইসরায়েল সফর বাতিল করা হয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে এটিই ছিল আর্জেন্টিনার শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ।
আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জর্জ ফাউরি এই ম্যাচটির ব্যাপারে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের অনাগ্রহের কথাই জানিয়েছেন, ‘আমি যত দূর জানি জাতীয় দলের ফুটবলাররা এই ম্যাচটি খেলতে চাচ্ছিল না।’ আর্জেন্টাইন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি এই ম্যাচ নিয়ে নিজের অনাগ্রহের কথা আগেই জানিয়েছিলেন। বিশ্বকাপের আগে জেরুজালেমে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ না খেলে তিনি তা বার্সেলোনায় খেলতে চেয়েছিলেন।
এদিকে আর্জেন্টাইন তারকা গঞ্জালো হিগুয়েইন জানিয়েছেন, পুরো দলের ওপর রাজনৈতিক চাপ প্রকট আকার ধারণ করায় এই ম্যাচটি বাতিল করতে হয়েছে। ফিলিস্তিনি ফুটবল কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই এই ম্যাচ না খেলার আহ্বান জানিয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ম্যাচটি না খেলার ব্যাপারে লিওনেল মেসিকে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, শত অনুরোধের পরেও মেসি যদি ইসরায়েল যান, তাহলে তাঁর জার্সি ও ছবি পোড়ানো হবে। ফিলিস্তিনি ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আর্জেন্টাইন সরকারের কাছেও ম্যাচটি খেলতে জেরুজালেমে না আসার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ মনে করে, অর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচটিকে ইসরায়েল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। প্রথমে ম্যাচটি হাইফায় অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও কোনো এক কারণে এটিকে জেরুজালেমে নিয়ে আসা হয়। আর্জেন্টাইন সরকারের কাছে ইসরায়েল জেরুজালেমকে ‘ঐক্যবদ্ধ জেরুজালেম’ হিসেবে বলেছে।
সম্প্রতি গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ দমনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৬১ জন নিহত হন। পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা সব সময়ই তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দাবি করে আসছে। ইসরায়েল অবশ্য পুরো জেরুজালেম নগরীকেই নিজেদের বলে দাবি করে। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণার মাধ্যমে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সেখানে মার্কিন দূতাবাস খোলারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ১৪ মে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের উদ্বোধনের সময়ই ফিলিস্তিনিরা প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে। 
মেসি যেন এত কিছুর পরেও ইসরায়েল সফরে না আসেন সেই প্রত্যাশা ছিল ফিলিস্তিনিদের। দেশটির ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি জিব্রিল রজব বলেছিলেন, ‘মেসি হচ্ছেন ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার প্রতীক। ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলতে নেমে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে তিনি যেন স্বীকৃতি না দেন সেই প্রত্যাশাই আমরা করি।’
মেসি ও আর্জেন্টিনা ফিলিস্তিনিদের সেই প্রত্যাশার প্রতিদান অবশেষে দিতে যাচ্ছেন।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *