ফর্মেশন: ৩-৪-৩
1.জিয়ানলুইজি বুফন
গোলরক্ষক—জিয়ানলুইজি বুফন (ইতালি)
জিয়ানলুইজি বুফন এখনো বিশ্বসেরা গোলরক্ষকদের একজন। ইতালি এবারের বিশ্বকাপে না থাকায় বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে না ৪০ বছর বয়সী এই তারকাকে। এই মৌসুমেই জুভেন্টাসকে বিদায় বলে দেওয়া ২০০৬ বিশ্বকাপের অন্যতম নায়কে সবাই বড্ড মিস করবে। বিশ্বকাপে না খেলাদের দলে গোলরক্ষক হিসেবে কোনো দ্বিধা ছাড়াই সুযোগ পাবেন এই ইতালীয়।
2.জর্জো কিয়েলিনি
রাইট সেন্টার ব্যাক—জর্জো কিয়েলিনি (ইতালি)
গত কয়েক বছরে জর্জো কিয়েলিনিকে পেছনে ফেলার মতো ডিফেন্ডার খুব কমই চোখে পড়েছে। ইতালি বিশ্বকাপে না থাকায় নিজের জায়গায় অন্যতম সেরা এই তারকার সুযোগ হচ্ছে না বিশ্বকাপে খেলার। ২০১৪ বিশ্বকাপে লুইস সুয়ারেজের কামড়-কাণ্ডের শিকার ছিলেন এই কিয়েলিনিই। এই দলে রাইট ব্যাক হিসেবে থাকছেন তিনি।
3.ভার্জিল ফন ডাইক
সেন্টার ব্যাক-ভার্জিল ফন ডাইক (নেদারল্যান্ডস)
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ডিফেন্ডারটিকে এবার দেখা যাবে না বিশ্বকাপে। ভার্জিল ফন ডাইক হল্যান্ডের ব্যর্থতার বলি। হল্যান্ডের অনুপস্থিতির সঙ্গে সঙ্গে ফন ডাইকের না থাকাটাও এবারের বিশ্বকাপের জৌলুস অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
4.লিওনার্দো বোনুচ্চি
লেফট সেন্টার ব্যাক-লিওনার্দো বোনুচ্চি (ইতালি)
জুভেন্টাসে কিয়েলিনি-বোনুচ্চি জুটি ছিল বিশ্বসেরা। এই মৌসুমের শুরুতে মিলানে যাওয়ার পর খেই হারিয়েছেন বোনুচ্চি। খেই হারিয়েছে তাঁর দেশ ইতালিও। ফলে এবার বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ডিফেন্ডারের। ফুটবল ভক্তরাও মিস করতে যাচ্ছেন কিয়েলিনি-বোনুচ্চির ইতালীয় প্রাচীর।
5.ডেভিড আলাবা
লেফট উইংব্যাক-ডেভিড আলাবা (অস্ট্রিয়া)
বিশ্বসেরা লেফট ব্যাকদের একজন আলাবা। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে গত ৫ বছর ধরে খেলছেন দাপটের সঙ্গে। কিন্তু বিশ্বকাপে নেই এই তরুণ অস্ট্রিয়ান। ২০১৬ ইউরোর পর অস্ট্রিয়ানদের স্বপ্ন ছিল বিশ্বকাপে ফেরা। সেই স্বপ্ন ধুলোয় মিশে গেছে, সঙ্গে নিশ্চিত হয়েছে আলাবার বিশ্বকাপে না থাকা।
6.রাজা নাইনগোলান
সেন্টার মিডফিল্ডার-রাজা নাইনগোলান (বেলজিয়াম)
এবারের মৌসুমের সেরা মিডফিল্ডারদের তালিকায় ওপরের দিকেই থাকবেন নাইনগোলান। তাঁর দেশ বেলজিয়াম বিশ্বকাপে যাচ্ছে ডার্ক হর্স হিসেবেই। কিন্তু দলে নেই তিনি। শোনা যাচ্ছে, কোচ রবার্তো মার্টিনেজ নাইনগোলানের ধূমপান এবং পানাহারের অভ্যাস পছন্দ করেন না বলেই দলে রাখেননি তাঁকে।
7মিরালেম পিয়ানিচ
সেন্টার মিডফিল্ডার-মিরালেম পিয়ানিচ (বসনিয়া হার্জেগোভিনা)
গত বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো খেলতে এসেছিল বসনিয়া হার্জেগোভিনা। বসনিয়ার বিশ্বকাপ-মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মিরালেম পিয়ানিচের। সে সময় তরুণ ছিলেন। অভিজ্ঞতাতেও ছিল ঘাটতি। চার বছর পর অভিজ্ঞ হলেও নিজের দেশ বিশ্বকাপে না থাকার কারণে এতে খেলা হচ্ছে না পিয়ানিচের।
8.আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া
রাইট উইং ব্যাক-আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া (ইকুয়েডর)
তর্কসাপেক্ষে তিনি প্রিমিয়ার লিগের সেরা রাইট উইং ব্যাক। এবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সবচেয়ে ধারাবাহিক পারফরমারও ছিলেন ভ্যালেন্সিয়া। রক্ষণ, আক্রমণ দুই ক্ষেত্রেই সমান পারদর্শী ভ্যালেন্সিয়ার দেশ ইকুয়েডর এবারের বিশ্বকাপে নেই।
9.অ্যালেক্সিস সানচেজ
লেফট উইঙ্গার-অ্যালেক্সিস সানচেজ (চিলি)
পরপর দুবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন দেশ চিলিকে। কিন্তু পারেননি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পার করাতে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কাঁপানো সানচেজ হতে পারতেন এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম বড় তারকা। সেখানে খেলতেই পারছেন না তিনি এবং তাঁর দেশ চিলি। সানচেজ না থাকায় বেশ কিছুটা রং হারাচ্ছে বিশ্বকাপ।
10.গ্যারেথ বেল
রাইট উইঙ্গার-গ্যারেথ বেল (ওয়েলস)
কয়দিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অবিশ্বাস্য এক বাইসাইকেল কিকে গোল করলেন। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন রিয়াল মাদ্রিদের চ্যাম্পিয়নস লিগ-গৌরবে। দুর্ভাগ্যবশত এক সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে দামি
11.
মাউরো ইকার্দি
স্ট্রাইকার-মাউরো ইকার্দি (আর্জেন্টিনা)
বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়া অভাগাদের একজন মাউরো ইকার্দি। এই আর্জেন্টাইন নিজেকে আরও দুর্ভাগা ভাবতে পারেন গোটা মৌসুমজুড়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই। বিশ্বের যে কোনো দলই তাঁর মতো একজন স্ট্রাইকার পেলে বর্তে যাবে। এবার ইন্টার মিলানের হয়ে কাটিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারেরই সেরা মৌসুমটি। ২৯ গোল করেও জায়গা পাননি হোর্হে সাম্পাওলির ২৩ জনের স্কোয়াডে। সাম্পাওলি বলেছেন, ট্যাকটিক্যাল কারণই মূলত ইকার্দিকে না নেওয়ার কারণ। ইকার্দি তাতে সান্ত্বনা পেলে তো!
এ তো গেল মূল একাদশ। ২৩ জনের স্কোয়াডের বাকি ১২ জন থাকবেন বদলি হিসেবে। এখানেও প্রতিযোগী অনেক। তবে ফর্ম এবং তারকাখ্যাতি বিচার করে বেছে নেওয়া হলো সেরা ১২ জনকে।
গোলকিপার: ইয়ান ওবলাক (স্লোভেনিয়া), বার্নড লেনো (জার্মানি)।
ডিফেন্ডার: আন্দ্রেয়া বারজালি (ইতালি), ডেভিড লুইজ (ব্রাজিল), মার্কোস আলোনসো (স্পেন)।
মিডফিল্ডার: আর্তুরো ভিদাল (চিলি), সেস ফ্যাব্রেগাস (স্পেন), আরিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস), হেনরিখ মাখিতারিয়ান (আর্মেনিয়া), মারেক হামসিক (স্লোভেনিয়া)।
ফরোয়ার্ড: এডিন জেকো (বসনিয়া হার্জেগোভিনা), পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং (গ্যাবন)।
ehnews365
No comments:
Post a Comment