যে ৫ কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে জার্মানি - EH News365

89

EH News365 is a news portal

সব শেষ খবর

Post Top Ad

Monday, June 4, 2018

demo-image

যে ৫ কারণে বিশ্বকাপ জিততে পারে জার্মানি

Responsive Ads Here
5
গত বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি
গ্যারি লিনেকারের একটি কথা ফুটবল বিশ্বে বেশ প্রচলিত। ‘ফুটবল খেলায় ৯০ মিনিট ধরে ২২ জন বলের পেছনে দৌড়ায়, দিন শেষে কেবল জার্মানিই জেতে।’ কথাটি যে খুব একটা মিথ্যা নয় সেটি জার্মানির রেকর্ড দেখলেই পরিষ্কার। ব্রাজিলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চারবার (ইতালির সঙ্গে যৌথভাবে) বিশ্বকাপ জেতা দল জার্মানি। সত্যি বলতে কি, জার্মানির মতো বিশ্বকাপ ফাইনালেই উঠতে পারেনি (আটবার) আর কোনো দল। সর্বোচ্চ ১৩ বার সেমিফাইনালেই উঠেছে তারা!

২০১৪ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন জার্মানির এবারের সম্ভাবনা কেমন? গতকালও প্রীতি ম্যাচে হেরেছে দলটি। সর্বশেষ চার ম্যাচে জয়হীন। তবু জার্মানিতে ফেবারিটের তালিকায় না রাখা হবে মস্ত বড় ভুল। জেনে নিন, যে পাঁচটি কারণে জার্মানি এবারের বিশ্বকাপ জিততে পারে:

১. আগের বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কীভাবে এই টুর্নামেন্ট জিততে হয় সেটি ভালোভাবে জানা থাকা। যা এবার সঙ্গী হচ্ছে জার্মান দলের। আগেরবারের স্কোয়াড থেকে বেশি কাটাছেঁড়া না হওয়ায় বিশ্বজয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েই রাশিয়া যাচ্ছে জার্মানরা। টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে যা বড় টনিক হিসেবে কাজ করবে জার্মানির জন্য।

২. একজন জোয়াকিম লো
২০০২ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হারার পর একটি বিশেষ মিশন হাতে নিয়েছিল জার্মান ফুটবল ফেডারেশন। যার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপে তৎকালীন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় বর্তমান কোচ জোয়াকিম লোকে। ২০০৮ ইউরো ফাইনাল, ২০১০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল, ২০১২ ইউরোর সেমিফাইনালে তাঁর অধীনেই খেলেছে জার্মানরা। তবে মূল লক্ষ্যের কাছে এসেও বারবার অধরা থেকে যাচ্ছিল স্বপ্নটা। অবশেষে ২০১৪ বিশ্বকাপে লোয়ের ক্ষুরধার ফুটবল মস্তিষ্ক জার্মানিকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে। এবারও সেই একই কোচের অধীনে মাঠে নামবে জার্মানরা। যা তাঁদের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা।

৩. দুর্দান্ত স্কোয়াড
সমুদ্রে মাছ আর জার্মানিতে প্রতিভা কোনোটারই অভাব কোনো দিন হয়নি। বরাবরের মতোই এবারও বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা স্কোয়াড জার্মানদের। দলে নতুন মুখ আসার পাশাপাশি আছেন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়েরাও। পার মার্তেসেকার, ফিলিপ লাম, বাস্তিয়ান শোয়েনস্টাইগার, মিরোস্লাভ ক্লোসাদের বিদায়ের পর জার্মান ফুটবলে যে শূন্যতা অনুভূত হওয়ার কথা ছিল, তা হতে দেয়নি তরুণ-তুর্কিরা। যাদের মান নিয়ে নেই কোনো প্রশ্ন। বিশ্বকাপে এই স্কোয়াডকে হারাতে অন্য দলগুলোকে প্রচুর ঘাম ঝরাতে হবে এটা বলে দেওয়া যায়।

৪. নতুন প্রজন্ম
জার্মান দলে যত দিন খেলেছেন সবচেয়ে ভালো পারফরমারদের মধ্যে ছিলেন ফিলিপ লাম এবং বাস্তিয়ান শোয়েইনস্টাইগার। গত বিশ্বকাপের পর লামের অবসর, ২০১৭-তে শোয়েইনস্টাইগারের বিদায়। এই দুই মহিরুহ বিদায় নেওয়ার পরও জার্মানরা সেভাবে ধাক্কা খায়নি। কারণ তাদের জুতায় পা গলানোর মতো খেলোয়াড় তত দিনে পেয়ে গিয়েছিল জার্মানরা। জোসুয়া কিমিচ, ইলকায় গুন্ডোগানরা পারফর্ম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। যার ফলে জার্মানদের শক্তিতে চিড় ধরেনি এতটুকু। লাম, শোয়েইনিদের অভিজ্ঞতা হয়তো পাবে না জার্মানি, তবে কিমিচ, গুন্ডোগানদের প্রাণোচ্ছল পারফরম্যান্স সেই অভিজ্ঞতার অভাব ঢেকে দিতে পারে।

৫. জার্মান স্নায়ু
জার্মানদের স্নায়ু জন্মগতভাবেই বেশ শক্ত। চাপ সামলানোর ক্ষমতা, প্রত্যাশা পূরণ করার মানসিকতা জার্মানদের সব সময়ই এগিয়ে রেখেছে বাকিদের থেকে, যা জার্মানির এই দলটির মধ্যেও বিদ্যমান। যা বিশ্বকাপের মতো স্নায়ুর পরীক্ষা নেওয়া টুর্নামেন্ট জিততে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারও যদি জার্মান স্নায়ুতে চিড় ধরানো সম্ভব না হয়, তবে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৃশ্য কল্পনা করতেই পারে তাদের সমর্থকেরা।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Pages

Contact Form

Name

Email *

Message *