একসময় মনে হচ্ছিল এবারের বিশ্বকাপে খুব সম্ভবত নিজেদের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমারকে ছাড়াই যাচ্ছে ব্রাজিল। কিন্তু চোট থেকে তাড়াতাড়ি ভালোভাবে যদি ফিরতেই না পারেন, তাহলে নেইমারকে আর বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন মানা হবে কেন? চোটের কারণে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকাটা নেইমারের ফর্মে কোনো প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে না।
বিশ্বকাপের আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন নেইমার। দুই ম্যাচে দুটো গোল করে ছন্দে থাকার প্রমাণও দিচ্ছেন। আর এই দুই গোল করেই ব্রাজিলের জার্সি গায়ে নিজের গোলসংখ্যাকে ৫৫তে নিয়ে গেছেন নেইমার, ভাগ বসালেন রোমারিওর রেকর্ডে। ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় রোমারিওর সঙ্গে যৌথভাবে এখন তৃতীয় স্থানে আছেন নেইমার। সামনে শুধু পেলে আর রোনালদো।
‘আজকের গোলটা আমার আদর্শ রোমারিওকে উৎসর্গ করেছি। ভেবেছিলাম গোলটা করার পরে কোনো না কোনোভাবে আমার আইডলকে এটা উৎসর্গ করব। শুধুমাত্র আমারই নয়, সব ব্রাজিলিয়ানদেরই আদর্শ তিনি (রোমারিও)। ব্রাজিল ইতিহাসের সেরা গোলদাতাদের সঙ্গে একই তালিকায় থাকতে পারাটা আমার জন্য অনেক গর্বের একটা বিষয়।’
নেইমারের এমন প্রত্যাবর্তন তৃপ্তি দিচ্ছে কোচ তিতেকেও, ‘আমি জানি না নেইমারের ক্ষমতার শেষ কোথায়। ওর টেকনিক ও সৃষ্টিশীল দক্ষতা অসাধারণ। মাঠের অ্যাটাকিং থার্ডে ওকে যখন আমরা মুক্ত হয়ে ঘুরতে দিই, তখন সে ভয়ংকর।’
৫৫ গোল করতে রোমারিওর চেয়ে ১১ ম্যাচ বেশি লেগেছে নেইমারের, ৭৪ ম্যাচে ৫৫ গোল করেছিলেন রোমারিও, এদিকে নেইমার খেলেছেন ৮৫ ম্যাচ। ৯৮ ম্যাচে ৬২ গোল নিয়ে নেইমারের সামনে আছেন রোনালদো, আর ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল নিয়ে সবার ওপরে আছেন পেলে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রিয় ক্লাব সান্তোসের কিংবদন্তি ও ব্রাজিলের সর্বকালের সবচেয়ে বড় তারকা পেলের রেকর্ডের দিকেই নজর রয়েছে নেইমারের, পেলেকে ধরতে আর মাত্র ২২টা গোল হলেই হয় তাঁর!
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Monday, June 11, 2018
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
I am Istiak.I love news.It is a noble work
No comments:
Post a Comment